Posts

আলাপ

Image
আমাদের একটি বটগাছ আছে। তার সাথে আমার যোগাযোগ ২৪/২৫ বছরের। আমার যখন সেই ছোটবেলা তার তখন বোধ হয় যৌবনকাল। ইয়া মোটা মোটা শক্ত পোক্ত ঝুরি নামতো তার ডাল থেকে মাটি পর্যন্ত। সুতরাং যা হওয়ার তাই হতো। তার ঝুরির কোলে ঝুলে দোল খেয়েছি শত শত বার। হাত ফস্কে আছাড় খাওয়াও ছিল সচরাচর।  এখন তাকে কেমন যেনো বয়স্ক বয়স্ক লাগে বা হয়তো মানুষেরই আধিক্যে তার ঝুরি এখন সংকুচিত ক্ষুদ্র হয়েছে , মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। এই সেদিনও , কয়েক বছর আগে বিশেষ একজনের সাথে প্রথম সাক্ষাতে যাওয়ার পথে ওই বটেরই একটি শান্ত শীতল সূক্ষ্ম ঝুরির অংশ ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের একটি বটগাছ আছে। বটগাছের সাথে মানুষের সংযোগ আলাদা করে নুতন করে বলার কিছু বাকি নেই। বিজ্ঞান দর্শন শিল্প সবেতেই তার প্রকাশ অপরিসীম। তবে প্রত্যকেরই বাড়ির আশেপাশে, পাড়ায় এমন অন্তত একজন থাকে, যাওয়া আসার পথে তার সাথে রোজই চোখাচোখি হয় যেন কত জন্মের যোগাযোগ কিন্তু সেই অর্থে পরিচয় কখনও হয়না, না কথা বা বার্তা, তাকে বন্ধু বলা হয় কিনা জানিনা। দিনের পর দিন বছরের পর বছর এভাবেই কাটে এবং হঠাৎ একদিন যাওয়া বা আসার পথে কোনো এক দৈবাৎ সংযোগে তার সাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়

কাকতালীয়

Image
রবিবার, মৌনমুখরের  বন্ধের দিন আর আমার ছুটির। সদ্য পাওয়া  ক্যাননের 1DX Mark ii  ক্যামেরাটা নিয়ে রেওয়াজে যাওয়ার উত্তম দিন, নতুন ব্যাট হাতে পেলে ব্যাটটার জন্য আলাদা ভাবে প্র্যাকটিসে যাওয়া যেমন হয় আর কি। এদিক ওদিক করে, এরম সেরম  করে দেখে নেওয়া যায় compatibility, controls, outputs ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আমি ঠিকানা বেছেছিলাম কাকদ্বীপ ব্লকের অন্তর্গত হারউড পয়েন্ট কোস্টাল এলাকায় ৪ নম্বর জেটিঘাট সংলগ্ন বসতি। সকাল বেলার সময়, নদীবাঁধকেন্দ্রিক জীবনযাপন, জনসমাগম খুবই নগণ্য। আপন খেয়ালে ক্যামেরাটা নিয়ে কিছুটা সময় নাড়াচাড়া করতে করতে আমার চোখ পড়লো দুই বন্ধুর উপর, তাদের আনুমানিক বয়স ১০-১১ বছর হবে। তারা গল্প করছে বাঁধে বসে জিগরি দোস্তের মতো। তাদের সাথেও একটি যন্ত্র রয়েছে, মাছ বা কাঁকড়া ধরার একটি ঘরোয়া যন্ত্র, অনেকেই আঞ্চলিক ভাষায়  ছেগিন জাল  বলে থাকে। কোথাও কোথাও চাক জালও বলা হয়। ওদের অচেতনে কিছুটা দুর থেকেই ওদের একটি ছবি তুলতেই শাটারের শব্দে ওরা চকিত হলো, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই এগিয়ে এসে ভাব জুড়লো আমার সাথে। ব্যাস,  আমিও চাঁদ পেলাম হাতে, বসে পড়লাম দিব্যি ঘাসের উপর ওদের গা ঘেঁষে। সুজয়